দেশকন্ঠ ডেস্ক : ‘পাঠান’ নিয়ে বিতর্কের চোটে প্রথম থেকেই কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাহরুখ খানসহ গোটা ছবির টিম। তাই ‘পাঠান’ মুক্তির আগে পর্যন্ত কোনও মন্তব্যই করেননি তিনি। এখন তো গোটা বিশ্বজুড়ে ‘পাঠান’ ঝড়। সব বিতর্ককে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে মাত্র ৫ দিনেই ৫০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে শাহরুখের ‘পাঠান’।
সেই সাফল্যকে সঙ্গে নিয়েই সোমবার যশরাজের স্টুডিওতে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন শাহরুখ। সেখানেই প্রথমবার ছবি নিয়ে মন খুলে কথা বললেন বলিউড বাদশা। সঙ্গে ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহম। প্রথমেই শাহরুখ ধন্যবাদ জানান, সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে। শাহরুখের কথায়, ‘এই ছবি যে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি পেয়েছে তার নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছেন সংবাদমাধ্যম। ছবির সাফল্যের অংশীদার তারাও। আমি বরাবরই চেয়েছিলাম, ঘৃণার সঙ্গে নয়, এই ছবি মুক্তি পাক ভালবাসাকে সঙ্গে নিয়ে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ শেষমেশ সেটাই ঘটেছে।’
সাংবাদিক বৈঠকে পাঠানের সঙ্গে জড়িত সব বিতর্ককেই যেন এড়িয়ে গেলেন শাহরুখ। বরং উত্তর দিলেন ধৈর্য্য ধরে। শাহরুখ বলেন, করোনার সময় তো রান্না শিখছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো পেশা বদলাতে হবে। তবে গত চার বছরের সব দুঃখ, গত চারদিনে ভুলে গিয়েছি।সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে পাঠানের প্রচার না করলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি নিয়ে লাগাতার প্রচার সেরেছেন শাহরুখ। ভক্তদের নানা প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। শাহরুখের কথায়, দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তারাই আমার মেরুদণ্ড।
‘পাঠান’ ছবির তুরুপের তাস শাহরুখ হলেও, শাহরুখের কাছে এই ছবির আসল চমকই হল জন আব্রাহম। প্রায় প্রত্যেকটি কথাতেই জনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। শাহরুখের কথায়, ‘জনের মতো ভিলেন ছিল বলেই, পাঠানের এই রাজত্ব। আমাকে নয়, জনকে দেখেই মেয়েরা বেশি পাগল হয়েছে! শাহরুখের মুখে শোনা যায়, দীপিকার প্রশংসাও। শাহরুখ জানান, দীপিকা এই ছবির স্টাইল স্টেটমেন্ট। দীপিকা তো আমার থেকেও ভাল মারপিট করেছে।’‘পাঠান’ ছবির সাফল্যের মাঝেই শাহরুখ ও ছবির পরিচালক ইঙ্গিত দিলেন পাঠান ২-এর। শাহরুখের কথায়, ‘পাঠান ২-এ প্রাণপণ কাজ করব। পাঠানের থেকেই আরও বেশি সাফল্য নিয়ে আসব।’ তবে ঠিক কবে ‘পাঠান ২’ আসবে তা কিন্তু ফাঁস করেন না কেউই।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
দেশকন্ঠ /এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।